গীতায় "আমি" রহস্য

নমস্কার সকল সনাতনী মিত্রগণদের। আমরা সবাই সনাতন ধর্ম অনুষারী। সনাতন ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ। বেদ বুঝানোর জন্য উপনিষদ্। উপনিষদ্ এর সারাংশ হচ্ছে গীতা। গীতায় (ধৃতরাষ্ট+ সঞ্জয়+শ্রীকৃষ্ণ+অর্জুন) এই চার ব্যক্তির বানীর মোট ১৮ অধ্যায়ে ৭০০ টি শ্লোক রয়েছে। ৭০০ শ্লোক থাকার কারনে গীতাকে সপ্তশতী শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতা বলা হয়। আমরা সকলেই গীতা পাঠ করি। গীতা পাঠ করতে গিয়ে অনেক সময় অামরা অনেকই দো-টানার মধ্যে পড়ি। যেমনঃ- ★[গীতার কোথাও শ্রীকৃষ্ণ বলেছে- হে মহাবীর অর্জুন! আমার এবং তোমার বহুবার জন্ম হইয়া গিয়েছে। আমি সে সবই জানি কিন্তু তুমি তাহার কিছুই জান না। গীতা ৪/৫ (এই শ্লোক থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে অর্জুন এবং শ্রীকৃষ্ণের বহুবার জন্ম হয়েছে।) ★এবার পরের শ্লোকে দেখি কি বলা হয়েছে- আমার জন্ম ও মৃত্যু নেই। আমি সকলের ঈশ্বর। আমি নিজ প্রকৃতিতে আশ্রয় করিয়া নিজ মায়াবলে নিজেকে সৃষ্টি করিয়া থাকি। গীতা ৪/৬ (উপরক্ত গীতার ৪/৫ নং শ্লোকের সাথে ৪/৬ নং শ্লোকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছে। পূর্বের শ্লোকে সাথে কোন মিল নেই)] ★[গীতায় আবার দেখুন শ্রীকৃষ্ণ বলেছে- আমি তোমাকে অত্যান্ত ভালবাসি বা তুমি আমার অতি প্র...