পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৈশোর আর যৌবনকে আরও নীচে নামিয়ে এনেছি।

ছবি
সমগ্র যুবসমাজের কাছে হাসির খোরাক করে তুলেছি ভগবানকে।যাত্রা-নাটক-সিনেমা-সর্বত্র এখন কৃষ্ণকে নিয়ে ফাজলামো হয়। দোষ যুবকদের নয়, কৃষ্ণভক্তদের😒। কৃষ্ণের কৈশোর আর যৌবনকে আমরা গত ৫০০ বছর ধরে এমনভাবে তুলে ধরেছি যেন, কৃষ্ণ একটা লম্পট।যার চরিত্র বলে কিছু ছিল না। যার প্রধান কাজ ছিল মেয়েদের সঙ্গে ফূর্তি করা।স্নানের ঘাটে মেয়েদের কাপড় চুরি,পরের বউকে নিয়ে টানাটানি,লুকিয়ে তার সঙ্গে ক্রীড়া😡। হ্যাঁ এভাবেই উপস্থাপিত করেছি কৃষ্ণকে😔। যা সত্যের একেবারে বিপরীত। চরম এবং চূড়ান্ত মিথ্যাকথাগুলিকে শ্রীকৃষ্ণের জীবনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। 😒 ভগবানের লীলা বলে এই কাজকে সমর্থনও করা হয়। ছোট থেকে বড় এখন, সবাই আমরা সেই প্রভাবে প্রভাবিত।পথে ঘাটে স্কুলে কলেজে সর্বত্র এসব নিয়ে হাসিঠাট্টা।আমরা শুনি কৃষ্ণভক্তরাও শোনে। হজম করতে হয়,কারণ ভণ্ডামি ঢাকতে এসব হজম করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কোন ছেলে যদি তার বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করে অমনি আমরা বলি–"কিহে তুমি তো কলির কেষ্ট?"। এগুলো পরিচিত বাক্যবন্ধনী, অনেকেই শুনি, অনেকেই বলি।একবারও ভাবি না কি বলছি, কেন বলছি! 😒 একথা বলে কি আমরা এগুলোই বোঝাতে চাই যে, মেয...

শ্রীকৃষ্ণ বনাম ঈশ্বর!""

নমস্কার  সকল সনাতন ধর্ম অনুষারী সনাতনী মিত্রকে। আমাদের সনাতন ধর্ম অনুষারী অনেকেই আছে যারা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর মনে করে। তাদের উদ্দেশেই আজকে এই পোষ্টি। তবে আসুন শাস্ত্র থেকেই জেনে নেই সত্যি কি শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর ছিলেন? ♦ যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ আমাদের জীবনের উজ্জলতম আদর্শ এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।  তার কর্মগুলো সর্বদাই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। গীতায় ৩/২১ নং শ্লোকে বলা রয়েছে যে, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যাহা আচরন করেন সাধারনে তারই অনুকরন করে। শ্রীকৃষ্ণের সমগ্র জীবনে এতো অসংখ্য মহত্বের বর্ণনা রয়েছে যা একটি লেখায় শেষ করা অসম্ভব।  তাই আমরা আজ শ্রীকৃষ্ণ সমন্ধ্যে সাধারণ টুকিটাকি কিছু তথ্য জানবো। এবং এই টুকিটাকি তথ্য থেকেই জানবো, শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর হন কি না!!! ***************************************** ♦♣♦ বহু মানুষের মনে একটি প্রশ্ন- ঈশ্বর সাকার নাকি নিরাকার?  ==> আসুন, কোন মুখের কথায় বিশ্বাস না করে গীতায় কি বলে তা জানার চেষ্টা করি। ==> গীতায় ২/২৩ নং শ্লোকে বলেছে- এই আত্মাকে অস্ত্র দ্বারা ছেদন করা যায় না, অগ্নি ইহাকে দগ্ধ করিতে পারে না, জল ইহাকে আর্দ্র করিতে পারে না, এবং বায়ু ইহাক...

ধর্মজ্ঞান_ও_উত্তর

             ওম কৃণস্তু বিশ্বমার্য়্যম্ বিষ্ণু বিভ্রান্তি ও উত্তরঃ সাকার মতবাদে বিষ্ণু অর্থাৎ পুরানের বিষ্ণু এবং বেদের বিষ্ণুর বর্ণনা এক নয়। বেদের বিষ্ণুর গড়ুর পাখি লাগে না। সুদর্শন, গদা, সঙ্ক, পদ্মও লাগে না। সনাতন শাস্ত্রে বেদের সমকক্ষ অন্য কোন কিছুকে ভাবাও পাপ ও মূর্খতা। আর হ্যাঁ। বেদ অনুযায়ী কোন বৈষ্ণব, শৈব শাক্ত, গণপত্য, শাক্ত,দেবী সম্প্রদায় নেই। তাই বেদের জ্ঞান নিন এবং নিজেকে সুদ্ধ করুন। বেদে বলা হয়েছেঃ ইদমং বিষ্ণর্বিচক্রমে ক্রেধা নিদধে পাদম। স  মূঢ়মস্য পাংসুরে।                                           [ঋগ্ববেদ ১/২১/১৭] পদার্থঃ (ইদম) এই (বিষ্ণুঃ) ব্যাপক পরমাত্মা (বি) বিবিধ ভাবে (চক্রমে) গঠন করেন (ত্রেধা) তিন প্রকারের (নিদধে) ধারন করিয়াছেন (পদম্) জগৎকে (সম্) সম্যক প্রকারে (উঢ়ম) তর্কদ্বারা (অসা) ইহার (পাংসুরে) সূক্ষ্ম রেণু পূর্ণ আকাশে। অনুবাদঃ সর্ব্বব্যাপক পরমাত্মা এই প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ  জগৎকে বিশেষ ক্রম পূর্ব্বক রচ...