ধর্মজ্ঞান_ও_উত্তর
ওম কৃণস্তু বিশ্বমার্য়্যম্
বিষ্ণু বিভ্রান্তি ও উত্তরঃ
সাকার মতবাদে বিষ্ণু অর্থাৎ পুরানের বিষ্ণু এবং বেদের বিষ্ণুর বর্ণনা এক নয়।
বেদের বিষ্ণুর গড়ুর পাখি লাগে না। সুদর্শন, গদা, সঙ্ক, পদ্মও লাগে না। সনাতন শাস্ত্রে বেদের সমকক্ষ অন্য কোন কিছুকে ভাবাও পাপ ও মূর্খতা। আর হ্যাঁ। বেদ অনুযায়ী কোন বৈষ্ণব, শৈব শাক্ত, গণপত্য, শাক্ত,দেবী সম্প্রদায় নেই। তাই বেদের জ্ঞান নিন এবং নিজেকে সুদ্ধ করুন।
বেদে বলা হয়েছেঃ
ইদমং বিষ্ণর্বিচক্রমে ক্রেধা নিদধে পাদম।
স মূঢ়মস্য পাংসুরে।
[ঋগ্ববেদ ১/২১/১৭]
পদার্থঃ (ইদম) এই (বিষ্ণুঃ) ব্যাপক পরমাত্মা (বি) বিবিধ ভাবে (চক্রমে) গঠন করেন (ত্রেধা) তিন প্রকারের (নিদধে) ধারন করিয়াছেন (পদম্) জগৎকে (সম্) সম্যক প্রকারে (উঢ়ম) তর্কদ্বারা (অসা) ইহার (পাংসুরে) সূক্ষ্ম রেণু পূর্ণ আকাশে।
অনুবাদঃ সর্ব্বব্যাপক পরমাত্মা এই প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ জগৎকে বিশেষ ক্রম পূর্ব্বক রচনা করিয়াছেন। স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ এই তিন প্রকারে এবং সূক্ষ্মরেণুপূর্ণ আকাশে সুবাবস্থিত জগৎকে ধারণ করিয়াছেন।
# বিষ্ণোঃ কর্ম্মাণি পশ্যত যতো ব্রতানি পস্পশে।
ইন্দ্রস্য যুজ্যঃ সখা।
[ ঋগ্ববেদ ১/২১/১৯]
পদার্থঃ (বিষ্ণোঃ) সর্ব্বব্যাপক পরমাত্মা (কর্ম্মাণি) কর্ম্ম সমূহকে (পশ্যত) জাত (যতঃ) যাহা হইতে (ব্রতানি)উত্তম কর্ম্ম সমূহকে (পস্পশে) প্রাপ্ত হয় (ইন্দ্রস্য) জীবের (যুজ্যঃ) সর্ব্বদেশ ও কালে (সখা) সুখ সম্পাদক।
অনুবাদঃ যিনি জীবের সহিত সর্ব্বস্থানে সর্ব্বময়ে যুক্ত রহিয়াছেন, যিনি সর্ব্ব সুখ দাতা, যাহার জন্য জীব শুভ কর্মকে লাভ করে সেই সর্ব্বব্যাপক পরমাত্মার সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়কার্য্য সম্যক অবগত হও।
# তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ।
দিবীব চক্ষুরাততম।।
[ঋগ্ববেদঃ১/২২/২০]
পদার্থঃ (তৎ) সেই (বিষ্ণোঃ) সর্ব্বব্যাপক পরমাত্মার (পরমম্) সর্ব্বোৎকৃষ্ট (পদম্) সন্দর্শন করেন (সূরয়ঃ) জ্ঞানীরা (দিবি) দ্যুলোকে (ইব) যেমন (চক্ষুঃ) নেত্র (আততম্) বিস্তৃতি।
অনুবাদঃ ধার্মিক জ্ঞানীরা দ্যুলোকের বিশাল চক্ষু সূর্যাদির ন্যায় সর্ব্বব্যাপক পরমাত্মার সেই পরম পদ সন্দর্শন করেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন