পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

#প্রশ্নঃ সাংখ্য দর্শণ ( ১/৯২) এ ঈশ্বরকে স্বীকার করে না কেন??

উত্তরঃ- সাংখ্যের এমন কোন সূত্র নাই যেখানে ঈশ্বরকে মান্য করে না। অাপনারা ভূল অনুবাদ পড়েন তাই অাপনাদের সাংখ্য সম্পর্কে মতিভ্রম হয়।অামি এই সূত্রের শুদ্ধ অনুবাদ দিচ্ছি।...

গীতায় "আমি" রহস্য

ছবি
নমস্কার সকল সনাতনী মিত্রগণদের। আমরা সবাই সনাতন ধর্ম অনুষারী। সনাতন ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ। বেদ বুঝানোর জন্য উপনিষদ্। উপনিষদ্ এর সারাংশ হচ্ছে গীতা। গীতায় (ধৃতরাষ্ট+ সঞ্জয়+শ্রীকৃষ্ণ+অর্জুন) এই চার ব্যক্তির বানীর মোট ১৮ অধ্যায়ে ৭০০ টি শ্লোক রয়েছে। ৭০০ শ্লোক থাকার কারনে গীতাকে সপ্তশতী শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতা বলা হয়।  আমরা সকলেই গীতা পাঠ করি। গীতা পাঠ করতে গিয়ে অনেক সময় অামরা অনেকই দো-টানার মধ্যে পড়ি। যেমনঃ- ★[গীতার কোথাও শ্রীকৃষ্ণ বলেছে- হে মহাবীর অর্জুন! আমার এবং তোমার বহুবার জন্ম হইয়া গিয়েছে। আমি সে সবই জানি কিন্তু তুমি তাহার কিছুই জান না। গীতা ৪/৫ (এই শ্লোক থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে অর্জুন এবং শ্রীকৃষ্ণের বহুবার জন্ম হয়েছে।) ★এবার পরের শ্লোকে দেখি কি বলা হয়েছে- আমার জন্ম ও মৃত্যু নেই। আমি সকলের ঈশ্বর। আমি নিজ প্রকৃতিতে আশ্রয় করিয়া নিজ মায়াবলে নিজেকে সৃষ্টি করিয়া থাকি। গীতা ৪/৬ (উপরক্ত গীতার ৪/৫ নং শ্লোকের সাথে ৪/৬ নং শ্লোকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছে। পূর্বের শ্লোকে সাথে কোন মিল নেই)] ★[গীতায় আবার দেখুন শ্রীকৃষ্ণ বলেছে- আমি তোমাকে অত্যান্ত ভালবাসি বা তুমি আমার অতি প্র...

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৈশোর আর যৌবনকে আরও নীচে নামিয়ে এনেছি।

ছবি
সমগ্র যুবসমাজের কাছে হাসির খোরাক করে তুলেছি ভগবানকে।যাত্রা-নাটক-সিনেমা-সর্বত্র এখন কৃষ্ণকে নিয়ে ফাজলামো হয়। দোষ যুবকদের নয়, কৃষ্ণভক্তদের😒। কৃষ্ণের কৈশোর আর যৌবনকে আমরা গত ৫০০ বছর ধরে এমনভাবে তুলে ধরেছি যেন, কৃষ্ণ একটা লম্পট।যার চরিত্র বলে কিছু ছিল না। যার প্রধান কাজ ছিল মেয়েদের সঙ্গে ফূর্তি করা।স্নানের ঘাটে মেয়েদের কাপড় চুরি,পরের বউকে নিয়ে টানাটানি,লুকিয়ে তার সঙ্গে ক্রীড়া😡। হ্যাঁ এভাবেই উপস্থাপিত করেছি কৃষ্ণকে😔। যা সত্যের একেবারে বিপরীত। চরম এবং চূড়ান্ত মিথ্যাকথাগুলিকে শ্রীকৃষ্ণের জীবনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। 😒 ভগবানের লীলা বলে এই কাজকে সমর্থনও করা হয়। ছোট থেকে বড় এখন, সবাই আমরা সেই প্রভাবে প্রভাবিত।পথে ঘাটে স্কুলে কলেজে সর্বত্র এসব নিয়ে হাসিঠাট্টা।আমরা শুনি কৃষ্ণভক্তরাও শোনে। হজম করতে হয়,কারণ ভণ্ডামি ঢাকতে এসব হজম করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কোন ছেলে যদি তার বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করে অমনি আমরা বলি–"কিহে তুমি তো কলির কেষ্ট?"। এগুলো পরিচিত বাক্যবন্ধনী, অনেকেই শুনি, অনেকেই বলি।একবারও ভাবি না কি বলছি, কেন বলছি! 😒 একথা বলে কি আমরা এগুলোই বোঝাতে চাই যে, মেয...

শ্রীকৃষ্ণ বনাম ঈশ্বর!""

নমস্কার  সকল সনাতন ধর্ম অনুষারী সনাতনী মিত্রকে। আমাদের সনাতন ধর্ম অনুষারী অনেকেই আছে যারা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর মনে করে। তাদের উদ্দেশেই আজকে এই পোষ্টি। তবে আসুন শাস্ত্র থেকেই জেনে নেই সত্যি কি শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর ছিলেন? ♦ যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ আমাদের জীবনের উজ্জলতম আদর্শ এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।  তার কর্মগুলো সর্বদাই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। গীতায় ৩/২১ নং শ্লোকে বলা রয়েছে যে, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যাহা আচরন করেন সাধারনে তারই অনুকরন করে। শ্রীকৃষ্ণের সমগ্র জীবনে এতো অসংখ্য মহত্বের বর্ণনা রয়েছে যা একটি লেখায় শেষ করা অসম্ভব।  তাই আমরা আজ শ্রীকৃষ্ণ সমন্ধ্যে সাধারণ টুকিটাকি কিছু তথ্য জানবো। এবং এই টুকিটাকি তথ্য থেকেই জানবো, শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর হন কি না!!! ***************************************** ♦♣♦ বহু মানুষের মনে একটি প্রশ্ন- ঈশ্বর সাকার নাকি নিরাকার?  ==> আসুন, কোন মুখের কথায় বিশ্বাস না করে গীতায় কি বলে তা জানার চেষ্টা করি। ==> গীতায় ২/২৩ নং শ্লোকে বলেছে- এই আত্মাকে অস্ত্র দ্বারা ছেদন করা যায় না, অগ্নি ইহাকে দগ্ধ করিতে পারে না, জল ইহাকে আর্দ্র করিতে পারে না, এবং বায়ু ইহাক...

ধর্মজ্ঞান_ও_উত্তর

             ওম কৃণস্তু বিশ্বমার্য়্যম্ বিষ্ণু বিভ্রান্তি ও উত্তরঃ সাকার মতবাদে বিষ্ণু অর্থাৎ পুরানের বিষ্ণু এবং বেদের বিষ্ণুর বর্ণনা এক নয়। বেদের বিষ্ণুর গড়ুর পাখি লাগে না। সুদর্শন, গদা, সঙ্ক, পদ্মও লাগে না। সনাতন শাস্ত্রে বেদের সমকক্ষ অন্য কোন কিছুকে ভাবাও পাপ ও মূর্খতা। আর হ্যাঁ। বেদ অনুযায়ী কোন বৈষ্ণব, শৈব শাক্ত, গণপত্য, শাক্ত,দেবী সম্প্রদায় নেই। তাই বেদের জ্ঞান নিন এবং নিজেকে সুদ্ধ করুন। বেদে বলা হয়েছেঃ ইদমং বিষ্ণর্বিচক্রমে ক্রেধা নিদধে পাদম। স  মূঢ়মস্য পাংসুরে।                                           [ঋগ্ববেদ ১/২১/১৭] পদার্থঃ (ইদম) এই (বিষ্ণুঃ) ব্যাপক পরমাত্মা (বি) বিবিধ ভাবে (চক্রমে) গঠন করেন (ত্রেধা) তিন প্রকারের (নিদধে) ধারন করিয়াছেন (পদম্) জগৎকে (সম্) সম্যক প্রকারে (উঢ়ম) তর্কদ্বারা (অসা) ইহার (পাংসুরে) সূক্ষ্ম রেণু পূর্ণ আকাশে। অনুবাদঃ সর্ব্বব্যাপক পরমাত্মা এই প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ  জগৎকে বিশেষ ক্রম পূর্ব্বক রচ...

গীতা মতে আমাদের সম্বোধন কি হওয়া উচিৎ

উত্তর  - !  চলুন গীতার অর্জুন উবাচ দিয়ে শুরু করি-  ।  "কস্মাচ্চ তে ন নমেরন্ মহাত্মন্ ... (গীতা 11.37)  অর্থাৎ হে মহাত্মা, কেন আপনাকে তারা নমষ্কার করবে?"  "নমো নমস্তেহস্তু সহস্রকৃত্বঃ পুনশ্চ ভূয়োহপি নমো নমস্তে। (গীতা 11.39)  অর্থাৎ আপনাকে পুনঃ পুনঃ নমষ্কার, সহস্রবার নমষ্কার পুনরায়ও আবারও নমষ্কার।"  "নমঃ পুরস্তাদথ পৃষ্ঠতস্তে নমোহস্তু তে সর্বত এব সর্ব .. (গীতা 11.40)  অর্থাৎ আপনার সামনে পেছনে নমষ্কার, আপনার সবদিকেই নমষ্কার।"  । যেখানে অর্জুনও গীতাতে শুধুমাত্র নমষ্কার দিয়েছেন বারংবার সেখানে আজকের তথাকথিত কৃষ্ণ ভক্তরা কথায় কথায় হরে কৃষ্ণ , রাধে কৃষ্ণ বা রাধে শ্যাম বলাটা ছাগল পাগলের লক্ষণ নয়  ?  কেননা বেদ, উপনিষদ, গীতা, মনুসংহিতা, বেদান্ত সূত্র ইত্যাদির কোথাও হরে কৃষ্ণ বা রাধে কৃষ্ণ বা রাধে শ্যাম নামক কোন শব্দের নাম গন্ধও নেই  ।  তাই যে সকল লোকে বলে অমুক তমুক জায়গায় এগুলো বলে বা বলার বিধান আছে তাদেরকে সনাতন ধর্মাবল্মী বলাই উচিত নয়  ।  কারণ এরা সনাতনীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টিকারী কুচক্রী ও ধর্ম ব্যবসায়ী...

বৈদিক নরী ঋষীর সংখ্যা

সনাতন বৈদিক ধর্ম এমন একটি গোত্র যার প্রধান ধর্মগ্রন্থের প্রাপক ও প্রচারকদের মহামনিষীদের মধ্যে নারী ঋষিকাগন ছিলেন যা পৃথিবীর অন্য কোন রিলিজিয়ন(ধর্ম একটিই,বৈদিক ধর্ম,বাকীগুলো মার্গ) এর পক্ষে চিন্তা করাও অসম্ভব।চলুন দেখে নেই পবিত্র বেদের মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিদের মধ্যে কিছু শ্রদ্ধেয় নারী ঋষিকার নাম- ১)ঘোষা(ঋগ্বেদ দশম মন্ডলের ৩৯-৪১ নং সুক্তের দ্রষ্টা,ঋষি কক্ষিবান এর কন্যা) ২)লোপামুদ্রা ৩)মৈত্রেয়ী ৪)গার্গেয়ী ৫)পৌলমি ৬)রোমশা ৬)অপালা ৭)বাক(ঋগ্বেদের বিখ্যাত দেবীসুক্তের দ্রষ্টা), ৮)অপত ৯)কত্রু ১০)বিশ্ববর ১১)জুহু ১২)ভগম্ভ্রীনি(মহর্ষি অম্ভ্রন এর কন্যা,ঋগ্বেদের অষ্টম মন্ডলের ১২৫ নং সুক্তের দ্রষ্টা) ১৩)যরিতা ১৪)শ্রদ্ধা ১৫)উর্বশী ১৬)স্বর্ণগা ১৭)ইন্দ্রানী ১৮)সাবিত্রী ১৯)দেবায়নী ২০)নোধা ২১)আকৃষ্ভাষা ২২)শীকাতনবাবরি ২৩)গণ্পায়নী ২৪)মন্ধত্রী ২৫)গোধ ২৬)কক্ষিবতী ২৭)দক্ষিনা ২৮)অদিতি ২৯)রাত্রি(মহর্ষি ভরদ্বাজের কন্যা) ৩০)শ্রীলক্ষ অথচ ভন্ড পৌরানিক পুরোহিতগন পুরুষতন্ত্র কায়েম করতে একসময় নারীদের শাস্ত্রপাঠ বন্ধ করে দিয়েছিল,সতীদাহের মত জঘন্য প্রথা চালু করেছিল।আসুন,বেদের শুভ্র,অনন্য পথ অ...