পরমাত্মা সৃষ্টিতে মনু-শতরূপা নয় (শত-শত মনুষ্য উৎপন্ন) করেছিল

।।ও৩ম্।।
পরমাত্মার সৃষ্টিতে বহু মনুষ্যের উৎপত্তি!
[অসংখ্য প্রজা সৃষ্টি করেছিলেন]
বেদ০
তং য়জ্ঞং বর্হিষি প্রৌক্ষন্ পুরুষং জাতমগ্রতঃ।
তেন দেবাহঅয়জন্ত সাধ্যাহঋষয়শ্চ য়ে।। (যজু০ ৩১/৯)
ভাষার্থঃ (তং) ওই (য়জ্ঞং) পুজনীয়, (অগ্রতঃ জাতম্) সর্ব প্রথমে, প্রাদুর্ভূত জগতের কর্তা, (পুরুষম্) পূর্ণ পরমেশ^রকে (অগ্রতঃ) সৃষ্টির পূর্বে (বর্হিষি) বিদ্যমান মহান ব্রহ্ম-রূপ যজ্ঞে (প্র ঐক্ষন্) উত্তম অভিষিক্ত করিয়ে। (তেন) ওই জ্ঞানময় পরম পুরুষ থেকে (সাধ্যাঃ) যোগাভ্যাস আদির সাধনাকারী জ্ঞানী আর (ঋষয়ঃ চ) ঋষিগণ (য়েচ) আর যদিও তাহারা (অয়জন্ত) পরমেশ্বরের উপাসনা করেন।। ৯।। 
ভাবার্থঃ পরমাত্মা সৃষ্টিতে যোগাভ্যাস আদি সাধনার জন্য অনেক জ্ঞানী ঋষিগণ [নর-নারী] উৎপন্ন করেছিল।। ৯।।
ভাষ্যঃ পণ্ডিত জয়দেব শর্মা বিদ্যালঙ্কার
উপনিষদ০
তস্মাদগ্নিঃ সমিধো য়স্য সূর্য়ঃ সোমাত্ পর্জন্য ওষধয়ঃ পৃথিব্যাম্।
পুমান্ রেতঃ নিঞ্চতি য়োষিতায়াং বহ্বীঃ প্রজাঃ পুরুষাত্ সম্প্রসূতাঃ।।(মুণ্ডকোপনিষদ ২/১/৫)
পদার্থঃ (তস্মাদ্) তাহার থেকে; (অগ্নিঃ) অগ্নি, তেজ; (সমিধঃ) অগ্নিকাষ্ঠ, প্রকাশক; (য়স্য) যাহাকে; (সূর্য়ঃ) সূর্য; (সোমাত্) সোম দ্বারা, স্রষ্টা থেকে; (পর্জন্যঃ) মেঘ; (ওষধপঃ) বনস্পতির; (পৃথিব্যাম্) পৃথিবীতে; (পুমান্) পুরুষ, [পুংলিঙ্গ প্রাণী]; (রেতঃ) বীর্যকে; (সিঞ্চতি) সিঞ্চন করে ঢেলে দিয়ে; (য়োষিতায়াম্) স্ত্রী [স্ত্রীলিঙ্গ প্রাণির] মধ্যে; (বহ্বী) বহু, অনেক; (প্রজা) প্রজা, সন্ততি; (পুরুষাত্) বিরাট পুরুষ হইতে; (সপ্রসূতা) উৎপন্ন হয়েছে।।৫।।
ভাবার্থঃ যে বিরাট-পুরুষের জন্য সূর্য অগ্নিকাষ্ঠ-রূপ হয়, অর্থাৎ যেরূপ অগ্নিকাষ্ঠ প্রদীপ্ত হয় না, ঐরূপ যে তেজের পুঞ্জ ভগবানের সম্মুখে সূর্য যেভাবে দীপ্তিমান তেজের পুঞ্জ অগ্নিকাষ্ঠে পদ্ধতি তেজ-হীন হয়, ওই বিরাট-পুরুষ থেকে অগ্নি উৎপন্ন হয়েছে। চন্দ্র যেরূপ পৃথিবীতে বর্ষার সিঞ্চন করেন আর তাহাতে ওষধির উৎপন্ন হয়, পুরুষ যেরূপ স্ত্রীতে বীর্যসিঞ্চন করেন আর তাহাতে প্রজা উৎপন্ন হয়, ইহা পদ্ধতি বিরাট-পুরুষ থেকেই সব-কিছু প্রসূত হয়।।৫।।
ভাষ্যঃ ডা. সত্যব্রত সিদ্ধান্তলঙ্কার

সোহকাময়ত বহু স্যাং প্রজায়েয়েতি। স তপোহতপ্যত। স তপস্তপ্ত্বা।
ইদং সর্বমসৃজত। যদিদং কিন্ঞ্চ। তৎ সৃষ্ট্বা। তদেবানুপ্রাবিশত্।।(তৈত্তি০ ২/৬) 
পদার্থঃ (সঃ) সেই পরমাত্মা (অকাময়ত) কামনা করিলেন (বহু) অনেক প্রকার (স্যাম্) হইব, (প্রজায়েয়) উৎপন্ন হইব (ইতি) এই কথা। (সঃ) পরমাত্মা (তপঃ তপ্ত্বা) সৃষ্টি বিষয়ক আলোচেনা করিয়া (ইদম্) এই (সর্বম) সমুদয় (য়ত্ ইদম্ কিম্ চ) এই যাহা কিছু আছে তত্সমুদয়ই (অসৃজত) সৃষ্টি করিলেন। (তত্) সেই সমস্ত (সৃষ্ট্বা) সৃষ্টি করিয়া (তত্ এব) সেই সকলের মধ্যে (অনুপ্রাবিশত্) অনুপ্রবেশ করিলেন।।৬।।
ভাবার্থঃ সেই পরমাত্মা কামনায় বহু প্রজা (মনুষ্যাদি+অন্যান্যপ্রানী বর্গ) উৎপন্ন হইলেন। আমি উৎপন্ন করিব। তিনি সৃষ্টি বিজ্ঞান বিষয় ও কার্য কারন অবলম্বনে সব কিছু সৃষ্টি করিলেন এবং সৃষ্টির মধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন।।৬।।

অজামেকাং লোহিতশুক্লকৃষ্ণাং বহ্বীঃ প্রজাঃ সৃজমানাং সরূপাঃ। 
অজো হ্যেকো জুষ মানো হনু শেতে জহাত্যেনাং ভুক্তভোগামজোহন্যঃ।।(শ্বেতা০ ৪/৫) 
পদার্থঃ (সঃ) পরমাত্মার (রূপাঃ) সত্ব, তম,রজ প্রকৃতি (বহ্বীঃ) অনেক (প্রজাঃ) সন্তান বা মনুষ্যাদি+ অন্যান্যা প্রানীসকল (সৃজমানাম্) সৃজনকারিনী (লোহিত শুক্ল কৃষ্ণাম্) রক্ত, শ্বেত ও কৃষ্ণাবর্ন বিশিষ্টা (একাম্) একমাত্র (অজাম) জন্ম রহিত প্রকৃতিক ও পরমাত্মা (একঃ হি) কোন (অজঃ) জন্মরহিত অবিদ্যাগ্রস্থ জীব (জুষমাণঃ) সেবা পরায়ন হইয়া (অনুশেতে) ভোগ করে (অন্যঃ) মুক্ত জীব (ভুক্ত ভোগাম্) ভোগ করে বিরত হয়েছে (এমাম্) এই প্রকৃতিকে (জহাতি) ত্যাগ করে।।৫।।
ভাবার্থঃ প্রকৃতি,জীব এবং পরমাত্মা এই তিন অজ অর্থাৎ 'যাহার কখন ও জন্ম হয় না এবং ইহারা কখনও জন্ম গ্রহন করেন না। অর্থাৎ এই তিন সমগ্র জগতের কারন নাই। অনাদিজীব, এই অনাদি প্রকৃতিকে ভোগ করিতে আবদ্ধ হয় কিন্তু পরমাত্মা ও মুক্ত পুরুষ তাহাতে আবদ্ধ হন না এবং ভোগ করেন না। সেই পরমাত্মা বহু মনুষ্যাদি সৃজন করেছিলেন।।৫।।

অনেকে বলে থাকে যে, শতরূপা ও মনু নাকি প্রথমে সৃষ্টি হয়েছিলেন কিন্তু এ কথা নিত্যান্ত মিথ্যা কথা। উপনিষদ বচনে প্রমাণিত হয় যে পরমাত্মা সৃষ্টির প্রারম্ভে এক সাথে বহু প্রজার সৃষ্টি করেন অতএব মনু আর শতরূপার গল্প সত্য নয়।
ভাষ্যঃ মহাত্মা নারায়ণ  স্বামী

 ।।ও৩ম্ শান্তি শান্তি শান্তি।।
ওম্ পরমাত্মনে স্মরনম্।। প্রশ্নঃ সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমাত্মা কত জন মনুষ্য সৃষ্টি করেছিলেন?? উত্তরঃ অসংখ্য প্রজা সৃষ্টি করেছিলেন।। এ বিষয়ে উপনিষদ ও শতপথব্রাহ্মনের প্রমান অাছে। ১। সোহকাময়ত বহু স্যাং প্রজায়েয়েতি। স তপোহতপ্যত। স তপস্তপ্ত্বা। ইদং সর্বমসৃজত। যদিদং কিন্ঞ্চ। তৎ সৃষ্ট্বা। তদেবানুপ্রাবিশৎ। ( তৈত্তি ২/৬) পদার্থঃ (সঃ) সেই পরমাত্মা ( অকাময়ত) কামনা করিলেন ( বহু) অনেক প্রকার ( স্যাম্) হইব, ( প্রজায়েয়) উৎপন্ন হইব ( ইতি) এই কথা। ( সঃ) পরমাত্মা ( তপঃ তপ্ত্বা) সৃষ্টি বিষয়ক অালোচেনা করিয়া ( ইদম্) এই ( সর্বম) সমুদয় (যৎ ইদম্ কিম্ চ) এই যাহা কিছু অাছে তৎসমুদয়ই ( অসৃজত) সৃষ্টি করিলেন। ( তৎ) সেই সমস্ত ( সৃষ্ট্বা) সৃষ্টি করিয়া ( তৎ এব) সেই সকলের মধ্যে ( অনুপ্রাবিশৎ) অনুপ্রবেশ করিলেন। সরলার্থঃ সেই পরমাত্মা কামনায় বহু প্রজা( মনুষ্যাদি + অন্যান্যপ্রানী বর্গ) উৎপন্ন হইলেন। অামি উৎপন্ন করিব। তিনি সৃষ্টি বিজ্ঞান বিষয় ও কার্য কারন অবলম্বনে সব কিছু সৃষ্টি করিলেন এবং সৃষ্টির মধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন। ২।। অজামেকাং লোহিতশুক্লকৃষ্ণাং বহ্বীঃ প্রজাঃ সৃজমানাং সরূপাঃ। অজো হ্যেকো জুষ মানো হনু শেতে জহাত্যেনাং ভুক্তভোগামজোহন্যঃ ( শ্বেতাশ্বর উ ৪/৫) পদার্থঃ ( সঃ) পরমাত্মার ( রূপাঃ) সত্ব, তম,রজ প্রকৃতি ( বহ্বীঃ) অনেক ( প্রজাঃ) সন্তান বা মনুষ্যাদি + অন্যান্যা প্রানীসকল ( সৃজমানাম্) সৃজনকারিনী ( লোহিত শুক্ল কৃষ্ণাম্) রক্ত, শ্বেত ও কৃষ্ণাবর্ন বিশিষ্টা (একাম্) একমাত্র ( অজাম) জন্ম রহিত প্রকৃতিক ও পরমাত্মা ( একঃ হি) কোন ( অজঃ) জন্মরহিত অবিদ্যাগ্রস্থ জীব ( জুষমাণঃ) সেবা পরায়ন হইয়া ( অনুশেতে) ভোগ করে ( অন্যঃ) মুক্ত জীব ( ভুক্ত ভোগাম্) ভোগ করে বিরত হয়েছে ( এমাম্) এই প্রকৃতিকে ( জহাতি) ত্যাগ করে। সরলার্থঃ প্রকৃতি,জীব এবং পরমাত্মা এই তিন অজ অর্থাৎ 'যাহার কখন ও জন্ম হয় না এবং ইহারা কখনও জন্ম গ্রহন করেন না। অর্থাৎ এই তিন সমগ্র জগতের কারন নাই। অনাদিজীব, এই অনাদি প্রকৃতিকে ভোগ করিতে অাবদ্ধ হয় কিন্তু পরমাত্মা ও মুক্ত পুরুষ তাহাতে অাবদ্ধ হন না এবং ভোগ করেন না। সেই পরমাত্মা বহু মনুষ্যাদি সৃজন করেছিলেন।। ★ অনেকে বলে থাকে যে, শতরূপা ও মনু নাকি প্রথমে সৃষ্টি হয়েছিলেন কিন্তু এ কথা নিত্যান্ত মিথ্যা কথা। উপনিষদ বচনে প্রমানিত হয় যে পরমাত্মা সৃষ্টির প্রারম্ভে এক সাথে বহু প্রজার সৃষ্টি করেন অতএব মনু অার শতরূপার গল্প সত্য নয়। ওম্ শান্তিঃ।।










ম্ পরমাত্মনে স্মরনম্।। প্রশ্নঃ সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমাত্মা কত জন মনুষ্য সৃষ্টি করেছিলেন?? উত্তরঃ অসংখ্য প্রজা সৃষ্টি করেছিলেন।। এ বিষয়ে উপনিষদ ও শতপথব্রাহ্মনের প্রমান অাছে। ১। সোহকাময়ত বহু স্যাং প্রজায়েয়েতি। স তপোহতপ্যত। স তপস্তপ্ত্বা। ইদং সর্বমসৃজত। যদিদং কিন্ঞ্চ। তৎ সৃষ্ট্বা। তদেবানুপ্রাবিশৎ। ( তৈত্তি ২/৬) পদার্থঃ (সঃ) সেই পরমাত্মা ( অকাময়ত) কামনা করিলেন ( বহু) অনেক প্রকার ( স্যাম্) হইব, ( প্রজায়েয়) উৎপন্ন হইব ( ইতি) এই কথা। ( সঃ) পরমাত্মা ( তপঃ তপ্ত্বা) সৃষ্টি বিষয়ক অালোচেনা করিয়া ( ইদম্) এই ( সর্বম) সমুদয় (যৎ ইদম্ কিম্ চ) এই যাহা কিছু অাছে তৎসমুদয়ই ( অসৃজত) সৃষ্টি করিলেন। ( তৎ) সেই সমস্ত ( সৃষ্ট্বা) সৃষ্টি করিয়া ( তৎ এব) সেই সকলের মধ্যে ( অনুপ্রাবিশৎ) অনুপ্রবেশ করিলেন। সরলার্থঃ সেই পরমাত্মা কামনায় বহু প্রজা( মনুষ্যাদি + অন্যান্যপ্রানী বর্গ) উৎপন্ন হইলেন। অামি উৎপন্ন করিব। তিনি সৃষ্টি বিজ্ঞান বিষয় ও কার্য কারন অবলম্বনে সব কিছু সৃষ্টি করিলেন এবং সৃষ্টির মধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন। ২।। অজামেকাং লোহিতশুক্লকৃষ্ণাং বহ্বীঃ প্রজাঃ সৃজমানাং সরূপাঃ। অজো হ্যেকো জুষ মানো হনু শেতে জহাত্যেনাং ভুক্তভোগামজোহন্যঃ ( শ্বেতাশ্বর উ ৪/৫) পদার্থঃ ( সঃ) পরমাত্মার ( রূপাঃ) সত্ব, তম,রজ প্রকৃতি ( বহ্বীঃ) অনেক ( প্রজাঃ) সন্তান বা মনুষ্যাদি + অন্যান্যা প্রানীসকল ( সৃজমানাম্) সৃজনকারিনী ( লোহিত শুক্ল কৃষ্ণাম্) রক্ত, শ্বেত ও কৃষ্ণাবর্ন বিশিষ্টা (একাম্) একমাত্র ( অজাম) জন্ম রহিত প্রকৃতিক ও পরমাত্মা ( একঃ হি) কোন ( অজঃ) জন্মরহিত অবিদ্যাগ্রস্থ জীব ( জুষমাণঃ) সেবা পরায়ন হইয়া ( অনুশেতে) ভোগ করে ( অন্যঃ) মুক্ত জীব ( ভুক্ত ভোগাম্) ভোগ করে বিরত হয়েছে ( এমাম্) এই প্রকৃতিকে ( জহাতি) ত্যাগ করে। সরলার্থঃ প্রকৃতি,জীব এবং পরমাত্মা এই তিন অজ অর্থাৎ 'যাহার কখন ও জন্ম হয় না এবং ইহারা কখনও জন্ম গ্রহন করেন না। অর্থাৎ এই তিন সমগ্র জগতের কারন নাই। অনাদিজীব, এই অনাদি প্রকৃতিকে ভোগ করিতে অাবদ্ধ হয় কিন্তু পরমাত্মা ও মুক্ত পুরুষ তাহাতে অাবদ্ধ হন না এবং ভোগ করেন না। সেই পরমাত্মা বহু মনুষ্যাদি সৃজন করেছিলেন।। ★ অনেকে বলে থাকে যে, শতরূপা ও মনু নাকি প্রথমে সৃষ্টি হয়েছিলেন কিন্তু এ কথা নিত্যান্ত মিথ্যা কথা। উপনিষদ বচনে প্রমানিত হয় যে পরমাত্মা সৃষ্টির প্রারম্ভে এক সাথে বহু প্রজার সৃষ্টি করেন অতএব মনু অার শতরূপার গল্প সত্য নয়। ওম্ শান্ত

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাণী চার প্রকার

বৈদিক পঞ্চ মহাযজ্ঞ

ঋগ্বেদ রাত্রিসূক্তঃ