পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অথর্ববেদ বুদ্ধিসূক্তঃ

ছবি
।। ও৩ম্।। ।। ।।ও৩ম্।। অথর্ববেদ ১/১ বুদ্ধিসূক্ত ঋষিঃ-অথর্বা।। দেবতা-বাচস্পতিঃ।। ছন্দঃ-অনুষ্টুপ্।। য়ে ত্রিষপ্তাঃ পরিয়ন্তি বিশ্ব রূপাণি বিভ্রতঃ। বাচস্পতির্বলা তেষা তন্বো অদ্য দধাতু মে।। ১।। মন্ত্রার্থঃ (য়ে) যে পদার্থ (ত্রি-সপ্তাঃ) ১-সবার সাধু, রক্ষক পরমেশ্বরের সম্বন্ধে যে, ২-রক্ষণীয় জগৎ [অথবা-তিন হইতে সম্বন্ধী ৩-তিন কাল-ভূত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ। ৪-তিন লোক, স্বর্গ, মধ্য আর ভূলোক। ৫-তিন গুণ স্বত, রজ আর তম। ৬-ঈশ্বর, জীব আর প্রকৃতি। অথবা তিন আর সাত=দশ। ৭-চার দিশা, চার বিদিশা, এক উপরে আর এক নিচের দিশা। ৮-পাঁচ জ্ঞান ইন্দ্রিয় অর্থাৎ কান, ত্বক,নেত্র জিহ্বা, নাসিকা আর পাঁচ কর্ম ইন্দ্রিয় অর্থাৎ বাক্, হাত, পা, পায়ু উপস্থ। অথবা তিন গুনিত সাত=একুশ। ৯- মহাভূত ৫+প্রাণ ৫+জ্ঞান ইন্দ্রিয় ৫+কর্ম ইন্দ্রিয় ৫+অন্তঃ করণ ১ ইত্যাদি] র সম্বন্ধে [বর্তমান] হয়ে (বিশ্বা=বিশ্বান) সব (রূপাণি) বস্তুকে (বিভ্রতঃ) ধারণ করতে থাকে (পরি) সব দিকে (য়ন্তি) ব্যাপ্ত আছে। (বাচস্পতিঃ) বেদরূপ বাণীর স্বামী পরমেশ্বর (তেষাম্) তাদের মধ্যে (মে) আমাদের জন্য (দধাতু) দান করেন।। ১।। ভাবার্থঃ...

আকাশতত্ত্ব কি?

ছবি
।।ও৩ম্।। আকাশ তত্ব কি?? আকাশ কি দ্বারা নির্মিত? বাক্ রশ্মিই আকাশ। বহু রশ্মিকে বাক্ রশ্মি বলা হয়। আকাশ এক পদার্থ। অাকাশের নির্মান হবার পূর্বে বহু সূক্ষ প্রাণঃরশ্মি, ছন্দরশ্মি,মরুত অাদি রশ্মি নির্মান হয়ে থাকে। যখন আকাশ ছিল না তখন সব অবকাশ ছিল। আকাশ নিয়ে বিভিন্ন ঋষিদের উক্তি এবং ব্রাহ্মণগ্রন্থের উক্তি। (গোপথ ব্রাহ্মণ পূর্বাদ্ধ ২/২৪) অন্তরিক্ষ বৈ যজুষম্ অন্তরিক্ষম্।। অর্থাৎ যজুংষি ছন্দরশ্মিই আকাশ। যজু মন্ত্রে যত ছন্দ ও অক্ষর রশ্মি আছে তাহার দ্বারা আকাশ নির্মিত। (তৈত্তিরীয় আরণ্যক ৭/৫/১) ভূব ইত্যোন্তরিক্ষম্।। ভূবঃ ব্যাহৃতি রশ্মিই অন্তরিক্ষ। (জৈমিনী ব্রাহ্মণ ৪/১১ এবং ১/১১) বাগ্ ইতি অন্তরিক্ষম্। বাক্ রশ্মিই অন্তরিক্ষ।।   বেদ মন্ত্র সকল এবং ছন্দই বাক্ রশ্মি।  অর্থাৎ বহু সখ্যক বেদ ঋচা তথা যজু ঋচা দ্বারা অন্তরিক্ষ বা অাকাশ নির্মিত। (কাঠক সংহিতা ১৬/২) আত্মা অন্তরিক্ষম্। সূত্রাত্মা বায়ূই অন্তরিক্ষ। সূত্রাত্মা প্রাণ রশ্মি সকল রশ্মির জন্মদাতা ও ধারণ কর্তা। মনস্তত্বে এই রশ্মি সৃষ্টি হবার সাথে সাথে আকাশ তত্বের সম্প্রীরণ হতে থাকে। (শতপথ ৮/৩/৪/১১)   ত্রিষ্টুভম্ অ...

বাণী চার প্রকার

ছবি
  ।।ও৩ম্।। বাণী চার প্রকার বিদ্বানেরা বাণীর চার রূপ বলে গিয়েছেন। ঋগ্বেদে- চত্বারি বাক্ পরিমিতা পদানি তানি বিদুর্ব্রাহ্মণা য়ে মনীষিণঃ।  গুহা ত্রীণি নিহিতা নেঙ্গযন্তি তুরীয়ং বাচো মনুষ্যা বদন্তি।। (ঋ০ ১/১৬৫/৪৫) এর ভাষ্যে মহর্ষি দয়ানন্দ জী চার প্রকারের বাণী বৈয়াকরণের দৃষ্টিতে  নাম, আখ্যান, উপসর্গ এবং নিপাতের রূপে বর্গীকৃত হয়। আচার্য সায়ণ ইহার ভাষ্যে বাণীর বর্গীকরণ বৈয়াকরণের দৃষ্টির অতিরিক্ত নৈরুক্ত আদির দৃষ্টিকে নিয়েও করা হয়েছে। ইহাতে এক বর্গীকরণআছে- পরা, চত্বারি বাক্ পরিমিতা পদানি তানি বিদুর্ব্রাহ্মণা য়ে মনীষিণঃ।                   গুহা ত্রীণি নিহিতা নেঙ্গযন্তি তুরীয়ং বাচো মনুষ্যা বদন্তি।।   (ঋক ১/১৬৪/৪৫) পদার্থঃ (য়ে) যে (মনীষিণঃ) মনকে গতিরোধকারী (ব্রাহ্মণাঃ) ব্যাকরণ, বেদ আর ঈশ্বরকে জ্ঞাতবান বিদ্বান জন (বাক্) বাণীকে (পরিমিতা) পরিমাণ যুক্ত  যে (চত্বারি) নাম, আখ্যাত, উপসর্গ আর নিপাত চার (পদানি) জানার যোগ্য পদ আছে (তানি) তাহাকে (বিদুঃ) জানেন, তাহার মধ্যে থেকে (ত্রীণি) তিন (গুহা) বু...

পরমাত্মা মনুষ্য যুবাবস্থা উৎপন্ন করেছিল

ছবি
।।ও৩ম্।। মনুষ্য যুবাবস্থাতে ভূমিতে উৎপত্তি হয়েছে! উপ সর্প মাতরং ভুমিমেতামুরুব্যচসং পৃথিবীং সুশেবাম্। ঊর্ণম্রদা য়ুবতির্দক্ষিণাবত এষা ত্বা পাতু নির্ঋতেরুপস্থাত্।। ঋ০ ১০/১৮/১০-১২ আধিভৌতিক ভাষ্যঃ পদার্থঃ হে জীব! (সুশেবাম্) [সুশেবঃ সুসুখতমঃ-নিরু০ ৩।৩] উত্তম সুখ দেওয়াতে সর্বশ্রেষ্ঠ (এতাম্) ইহা (মাতরম্) মাতার সমান (ভূমিম্) প্রারম্ভে যাহার গর্ভে সব প্রাণী উৎপন্ন হয়ে যাহার উপর সব প্রাণী নিবাস করেন, সে পৃথিবী (উরু-ব্যচসম্) অতি বিস্তারবান হয়ে সব ভ্রণকে (উপ সর্প) নিকটতা থেকে প্রাপ্ত হয়, ইহার সাথেই ওই গর্ভের আন্তরিক আবরণ নিরন্তর হালকা স্পন্দন করতে থাকে (ঊর্ণম্রদা) [ঊর্ণম্রদা ইত্যুর্ণমৃদ্বীত্যেবৈতদাহ-কাশ০ ৪।২।১।১০; সাধ্বী দেবেভ্য ইত্যেবৈতদাহ য়দাহোর্ণম্রদসং ত্বেতি-শ০ ১।৩।১।১০] সে ভূমি ঐ ভ্রণকে ঐরূপ আচ্ছাদন প্রদান করেন, যে পশমের সমান কোমল, মসৃণ বা আরামদায়ক। সে ওই দিব্য ভ্রণকে সবদিক থেকে গর্ভের সমান সুখদায়ক স্পর্শযুক্ত ঘর প্রদান করেন। (য়ুবতীঃ) ওই গর্ভরূপ পৃথিবীতে নানা জীবনীয় রসের মিশ্রণ-অমিশ্রণের ক্রিয়া নিরন্তর চলতে থাকে (দক্ষিণাবতঃ) সে পৃথিবী ঐ ভ্রণকে তখন পর...

ব্রতঃ গহণ সত্য থেকে অসত্যের দিকে

ছবি
।।ও৩ম্।। ব্রতগ্রহণঃ অসত্য থেকে সত্যের দিকে ঋষিঃ পরমেষ্ঠী প্রজাপতিঃ। দেবতাঃ অগ্নিঃ। ছন্দঃ আর্চী ত্রিষ্টুপ্। অগ্নে বৃতপতে বৃতং চরিষ্যামি তচ্ছকেয়ং তন্মে রাধ্যতাম্। ইদমূহমনৃতাত্ সত্যমুপৈমি।।৫।। যজু০ ১/৫ পদার্থঃ হে (ব্রতপতে) ব্রত পালনকারী (অগ্নে) অগ্রনায়ক জগদীশ্বর, রজন বা বিদ্যান! আমি (ব্রতং চারিষ্যামি) ব্রতের অনুষ্ঠান করব। (তত্) ওই ব্রতকে (শকেয়ম্) পালন করাতে সমর্থ হবো। (তত্ মে) সে আমার ব্রত (রাধ্যনাম্) সিদ্ধ হোক। সে ব্রত এই হয় যে (অহং) আমি (ইদং) এই (অনৃতাত্) অসত্যকে ছেড়ে (সত্যম) সত্যকে (উপৈমি) প্রাপ্ত করবো।।৫।। হে সর্বাগ্রাণী বিশ্বনায়ক জগদীশ্বর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রতপতি। আপনার উৎপত্তি-স্থিতি, প্রলয়, ন্যায়, নিষ্পক্ষতা, পরোপকার, সত্যনিষ্ঠা আদি অনেক ব্রতকে সেচ্চায় গ্রহণ করে, যাহার নিজের সদৈব পালন করেন। অতএব আপনার সাক্ষী রেখে আজ আমিও এক ব্রত গ্রহণ করছি। সে আমার ব্রত এই যে আজ থেকে আমি অসত্যকে ত্যাগ করে সদা সত্যকে পালন করবো। এখনো পর্যন্ত আম নিজের জীবনে অনেক অবসরে অসত্য ভাষণ আর সত্য আচরণ করেছি, কোনবার প্রলোভনে পড়ে মন, বাণী আর কর্ম দ্বারা অসত্যে লিপ্ত ছিলাম। পর...

বেদে মাংস ভক্ষণের ভ্রম

ছবি
।।ও৩ম্।। বৈজ্ঞানিক ভাষ্য-বেদের মধ্যে মাংসাহারের ভ্রম এতদ্বা উ স্বাদীয়ো ঢদধিগবং ক্ষীরং বা।                    মাংসং বা তদেব নাশ্নীয়াত্।।৯।।   (অথর্ব০ ৯/৬/৯ এই মন্ত্রে আচার্য সায়ণ ভাষ্য করেনি। পণ্ডিত শ্রীপাদ দামোদর সাতবলেকর ভাষ্য পদার্থঃ (এতত্ বৈ উ স্বাদীয়ঃ) সে যে স্বাদযুক্ত আছে (য়ত্ অধিগবং ক্ষীরং বা মাংসং বা) যে গাভী থেকে প্রাপ্তকারী দুধ অথবা অন্য মাংসাদি পদার্থ আছে (তত্ এব ন আশ্নীয়াত্) তাহার মধ্যে থেকে কোন পদার্থ অতিথির পূর্বেও খাবে না।।৯।। এই মন্ত্রের উপর  আচার্য অগ্নিব্রত ন্যাষ্টিক জীর মত ইনাদের ভাষ্যতে আর্ বিদ্বান প্রো০ বিশ্বনাথ বিদ্যালংকারই এই মাংসের অর্থ পনীর করেছেন, তবে পণ্ডিত ক্ষেমকরণদাস ত্রিবেদীই মনন সাধক (বুদ্ধিবর্ক) পদার্থকে মাংস বলেছেন। সবাই এই মন্ত্র তথা সূক্তের অন্য মন্ত্রের বিষয় অতিথি সৎকার বলেছেন। এই মন্ত্রের দেবতা পণ্ডিত ক্ষেমকরণদাস ত্রিবেদীর দৃষ্টিতে অতিথি বা অতিথিপতি, যখন পণ্ডিত সাতবলেকরই অতিথি বিদ্যা মেনেছেন। পণ্ডিত সাতবলেকরই ইহার ঋষি ব্রহ্মা মেনেছেন। ছন্দ পিপীলিকা মধ্যা গা...